ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি,
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে কানাড়ী গ্রামে জোর পূর্বক জমি দখলের চেষ্টা। ফরহাদ হোসেন নামে অভিযোগেকারী বলেন, উল্লেখিত বিবাদী জয়নাল আবেদীন, ফুল মিয়া, সহরাব আলী, সাইফুল ইসলাম সহ ও তার পরিবারের লোকজন ০৩/০২/২০১৯ ইং আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় আমার জমিতে আসিয়া জোর পূর্বক জবর দখলের উদ্দেশ্যে জমিতে থাকা রুপিত হলুদ ক্ষেত সহ বাঁশ ঝাড় বিনিষ্ট করিয়া ক্ষতি সাধন করে। কাচা বেড়ার টাটি ও বেড়ার ঘর তোলার পায়তারা শুরু করে অভিযোগকারী তার পরিবারকে বিবাদীগণের বিভিন্ন প্রকার প্রাণনাসের হুমকি দেয়।
পরে সেফালী বেওয়া বাদী হয়ে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানা একটি অভিযোগ দায়ের করে। যাহার মামলা নং- ২০, তাং- ২৮/০১/১৯, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩৭৯/৫০৬ (২)/১১৪ প্যানাল কোড উক্ত মামলায় আরজি বর্ণিত ৪নং বিবাদী ব্যতিত অপরাপর বিবাদীগণ বিজ্ঞ আদালতে জামিনে মুক্তি পায়। পরে বিবাদীগণ বাড়িতে আসিয়া ফরহাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদান করে এবং বিবাদীগণ সংখ্যায় বেশি হবার কারনে অভিযোগকারী পরিবারের প্রতি আক্রসমূলক জমি জমা সংক্রান্ত ক্ষতি সাধন করে। এদিকে ফরহাদের কৃষি জমিতে দিনমুজুর নেওয়া শ্রমিক গম ক্ষেতে পানি দিতে গেলে তাকে বাধাগ্রস্থ করে বিবাদীগনের লোকজন। এমতাবস্থায় অভিযোগকারীর পরিবারের লোকজন আতঙ্ককে দিন যাপন করিতেছে। এমন অভিযোগ করে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি যা কথা বলেছি এবং যা অভিযোগ করেছি সব কিছু সত্য।
আমি আমার পরিবার সবসময় ভয়ভীতির মধ্যে বাসকরি। কখন কি ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে বিবাদীগণ আক্রোস মূলক ক্ষতি সাধন করে। বিবাদীগনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭৪ ও ১৯৭৫ সাল থেকে তাদের এ জমি সংক্রান্ত জের হয়ে আসতেছে। ৩ চেয়ারম্যান বিচার করে গেলেও আদৌও এর সুরাহ হয়নি। ফরহাদ হোসেন ও তার পরিবার লোকজন বলছে যে জমিতে তারা ঘর তুলেছে ঐ জমির দলিল আমাদের নামে আছে। তারা জোর পূর্বক দখল করে আমাদের উপর মামলা হামলা করবে বিবাদীগণ বলে আসছে। উভয় পক্ষের মামলা চলমান।